ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

হলফনামায় মামলা ও স্থাবর সম্পদের তথ্য দেননি শাহজাহান ওমর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হওয়া মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) নামে কোনো মামলা নেই। তিনি বর্তমানে ফৌজদারি কোনো মামলায় অভিযুক্ত নন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। যদিও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে গাড়ি পোড়ানোসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শাহজাহান ওমরের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তিনি দুটি মামলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। এবার তিনি কোনো মামলার তথ্য উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে বাড়ি, কৃষিজমি ও অ্যাপার্টমেন্টের কথা উল্লেখ করলেও এবার তিনি স্থাবর সম্পদ হিসেবে কিছুই উল্লেখ করেননি।

হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, শাহজাহান ওমর কৃষি খাত থেকে ১ লাখ সাড়ে ৫ হাজার, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৭, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৭ এবং শেয়ার ও ব্যাংকের লভ্যাংশ থেকে ৯ লাখ ১৬ হাজার ২২৬ টাকা আয় করেছেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি আয় হিসেবে কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার, শেয়ার ও ব্যাংক লভ্যাংশ থেকে ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৩২ ও পেশা থেকে ১০ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা উল্লেখ করেছিলেন।

অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে শাহজাহান ওমরের কাছে নগদ ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৭, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৭, এফডিআর হিসেবে ১ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আছে। তবে ৫ বছর আগের হলফনামায় নগদ ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৪, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৩ এবং এফডিআর হিসেবে ২ কোটি ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ছিল। সেই হিসাবে তার অস্থাবর সম্পদ কমেছে।

তবে হলফনামায় শাহজাহান ওমরের স্ত্রীর নামে সম্পদ বেড়েছে। ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর নামে নগদ ৭০ হাজার ৮৭৭ টাকা থাকলেও ২০২৩ সালে ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আছে। অর্থাৎ ৫ বছরে স্ত্রীর কাছে প্রায় ৫০ গুণ নগদ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৩, স্থায়ী আমানত ও এফডিআর বাবদ ১ কোটি ১ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২১২, স্থায়ী আমানত ও এফডিআর ১ কোটি ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৯ টাকা ছিল।

শাহজাহান ওমরের ৬০ লাখ ৭০ হাজার দামের একটি গাড়ি আছে। তার স্ত্রীর গাড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া উভয়ের আসবাবপত্রসহ আরও ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদ আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও তিনি একই ধরনের তথ্য উল্লেখ করেছিলেন।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিজের ও স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি, অকৃষিজমি, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের হিসাব দিয়েছিলেন শাহজাহান ওমর। ২০১৮ সালে তাদের উভয়ের নামে কৃষি ও অকৃষি জমির দাম দেখানো হয়েছিল ৪৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬১ টাকা। বরিশাল ও রাজাপুরে মোট তিনটি বাড়ি ও পাকা ভবনের দাম দেখানো হয়েছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৫০৮ টাকা। এ ছাড়া ঢাকায় একটি খামারের মূল্য দেখানো হয়েছিল ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ৫০৮ টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে এবারের হলফনামায় স্থাবর কোনো সম্পদের হিসাব তিনি দেননি। তবে ঠিকই বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৭ টাকা আয় দেখিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

হলফনামায় মামলা ও স্থাবর সম্পদের তথ্য দেননি শাহজাহান ওমর

আপডেট সময় : ০৭:১০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হওয়া মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) নামে কোনো মামলা নেই। তিনি বর্তমানে ফৌজদারি কোনো মামলায় অভিযুক্ত নন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। যদিও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগে গাড়ি পোড়ানোসহ কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে শাহজাহান ওমরের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। যদিও ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তিনি দুটি মামলার কথা উল্লেখ করেছিলেন। এবার তিনি কোনো মামলার তথ্য উল্লেখ করেননি। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় তিনি স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে বাড়ি, কৃষিজমি ও অ্যাপার্টমেন্টের কথা উল্লেখ করলেও এবার তিনি স্থাবর সম্পদ হিসেবে কিছুই উল্লেখ করেননি।

হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, শাহজাহান ওমর কৃষি খাত থেকে ১ লাখ সাড়ে ৫ হাজার, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া থেকে ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৭, ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৬৭ এবং শেয়ার ও ব্যাংকের লভ্যাংশ থেকে ৯ লাখ ১৬ হাজার ২২৬ টাকা আয় করেছেন। তবে ২০১৮ সালে তিনি আয় হিসেবে কৃষি খাত থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার, শেয়ার ও ব্যাংক লভ্যাংশ থেকে ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৩২ ও পেশা থেকে ১০ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা উল্লেখ করেছিলেন।

অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে শাহজাহান ওমরের কাছে নগদ ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৭, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৮৫৭, এফডিআর হিসেবে ১ কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা আছে। তবে ৫ বছর আগের হলফনামায় নগদ ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৪, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯১৩ এবং এফডিআর হিসেবে ২ কোটি ১২ লাখ ৪২ হাজার টাকা ছিল। সেই হিসাবে তার অস্থাবর সম্পদ কমেছে।

তবে হলফনামায় শাহজাহান ওমরের স্ত্রীর নামে সম্পদ বেড়েছে। ২০১৮ সালে তার স্ত্রীর নামে নগদ ৭০ হাজার ৮৭৭ টাকা থাকলেও ২০২৩ সালে ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ৪৫০ টাকা আছে। অর্থাৎ ৫ বছরে স্ত্রীর কাছে প্রায় ৫০ গুণ নগদ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৯১৩, স্থায়ী আমানত ও এফডিআর বাবদ ১ কোটি ১ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় স্ত্রীর নামে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৩ লাখ ৪৭ হাজার ২১২, স্থায়ী আমানত ও এফডিআর ১ কোটি ৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৯ টাকা ছিল।

শাহজাহান ওমরের ৬০ লাখ ৭০ হাজার দামের একটি গাড়ি আছে। তার স্ত্রীর গাড়ির দাম দেখানো হয়েছে ১৭ লাখ ৪ হাজার টাকা। এ ছাড়া উভয়ের আসবাবপত্রসহ আরও ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকার সম্পদ আছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও তিনি একই ধরনের তথ্য উল্লেখ করেছিলেন।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নিজের ও স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ হিসেবে কৃষিজমি, অকৃষিজমি, বাড়ি ও অ্যাপার্টমেন্টের হিসাব দিয়েছিলেন শাহজাহান ওমর। ২০১৮ সালে তাদের উভয়ের নামে কৃষি ও অকৃষি জমির দাম দেখানো হয়েছিল ৪৫ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬১ টাকা। বরিশাল ও রাজাপুরে মোট তিনটি বাড়ি ও পাকা ভবনের দাম দেখানো হয়েছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৫০৮ টাকা। এ ছাড়া ঢাকায় একটি খামারের মূল্য দেখানো হয়েছিল ৪৮ লাখ ২৪ হাজার ৫০৮ টাকা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে এবারের হলফনামায় স্থাবর কোনো সম্পদের হিসাব তিনি দেননি। তবে ঠিকই বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ২৭৭ টাকা আয় দেখিয়েছেন।