ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

‘রোজার আগে বাড়ছে গ্যাস বিদ্যুতের দাম’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়া প্রসঙ্গে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘রোজার আগে বাড়ছে গ্যাস বিদ্যুতের দাম’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সেইসাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে।

বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বাড়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এই হিসাবে বিদ্যুতের দাম গড়ে ইউনিট প্রতি ৫২ পয়সা করে বাড়বে। শতকরা হিসাবে তা ছয় শতাংশের মতো।

বিদ্যুতের নতুন দাম মার্চ মাস থেকে কার্যকর হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে জ্বালানি তেলেও মূল্য সমন্বয়ের কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের যে দাম তাতে দেশের বাজারে দাম আরও কমার কথা বলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

তবে সরকারের তরফে বলা হচ্ছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে তেলের দাম আরও বেশি হওয়ার কথা।

প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভর্তুকি তুলে দিতে চায় সরকার। এ কারণে পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর ধরে মূল্য সমন্বয় করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় অন্য জ্বালানির তুলনায় তিন গুণের বেশি তবুও সারা বছরই তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সরকার।

বসে থাকছে গ্যাস ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার বড় একটি বড় অংশ।

পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন তিন ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ১০ শতাংশ কমালে বছরে সাশ্রয় হতে পারে অন্তত নয় হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ বকেয়া। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দেনাও শোধ করা যাচ্ছে না। তার মধ্যে আমদানির জন্য মার্কিন ডলারের সংকট রয়েছে।

ফলে গ্যাস ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জ্বালানি তেল আমদানি করতে ডলার লাগে সেই ডলার দিয়ে গ্যাস ও কয়লা আমদানি করা যায়।
সোমবার রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে রমজান ঘিরে সংগঠন চাঙ্গা করার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে রমজানে কী কী কর্মসূচি নেয়া যায় তা নিয়ে নেতারা মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে রমজানের ভেতরেও কর্মসূচি থাকতে পারে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

‘রোজার আগে বাড়ছে গ্যাস বিদ্যুতের দাম’

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়া প্রসঙ্গে মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘রোজার আগে বাড়ছে গ্যাস বিদ্যুতের দাম’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। সেইসাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দামও বাড়ানো হয়েছে।

বিদ্যুতের দাম ইউনিট প্রতি সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা বাড়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এই হিসাবে বিদ্যুতের দাম গড়ে ইউনিট প্রতি ৫২ পয়সা করে বাড়বে। শতকরা হিসাবে তা ছয় শতাংশের মতো।

বিদ্যুতের নতুন দাম মার্চ মাস থেকে কার্যকর হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে জ্বালানি তেলেও মূল্য সমন্বয়ের কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের যে দাম তাতে দেশের বাজারে দাম আরও কমার কথা বলে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

তবে সরকারের তরফে বলা হচ্ছে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে তেলের দাম আরও বেশি হওয়ার কথা।

প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভর্তুকি তুলে দিতে চায় সরকার। এ কারণে পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর ধরে মূল্য সমন্বয় করা হবে।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় অন্য জ্বালানির তুলনায় তিন গুণের বেশি তবুও সারা বছরই তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সরকার।

বসে থাকছে গ্যাস ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার বড় একটি বড় অংশ।

পিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন তিন ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ১০ শতাংশ কমালে বছরে সাশ্রয় হতে পারে অন্তত নয় হাজার কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ বকেয়া। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের দেনাও শোধ করা যাচ্ছে না। তার মধ্যে আমদানির জন্য মার্কিন ডলারের সংকট রয়েছে।

ফলে গ্যাস ও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন জ্বালানি তেল আমদানি করতে ডলার লাগে সেই ডলার দিয়ে গ্যাস ও কয়লা আমদানি করা যায়।
সোমবার রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে রমজান ঘিরে সংগঠন চাঙ্গা করার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে।

বৈঠকে রমজানে কী কী কর্মসূচি নেয়া যায় তা নিয়ে নেতারা মত দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এছাড়া দ্রব্যমূল্য ইস্যুতে রমজানের ভেতরেও কর্মসূচি থাকতে পারে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ কিংবা বিক্ষোভ সমাবেশের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে।