প্যাকেজের দাম কমিয়েও কোটা ভরছে না, হজ করতে কত টাকা খরচ হয়?
- আপডেট সময় : ০৭:৩৩:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
তিন দফা বাড়িয়ে পহেলা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিলো বাংলাদেশ থেকে হজের নিবন্ধনের সময়সীমা। কিন্তু, শেষদিনে এসে দেখা যাচ্ছে নিবন্ধন করেছেন প্রাপ্ত কোটার অর্ধেকের কিছু বেশি।
বর্ধিত খরচের কারণে মুসলমানদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত এই ‘ফরজ’ অনেকের সামর্থের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অথচ সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই গত বছরের তুলনায় প্যাকেজ মূল্য কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রায় পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ধার্য করা হয়। আর, বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ প্রায় পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা
বাংলাদেশ থেকে ২০২৩ সালে সরকারিভাবে হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছিলো ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে খরচের সর্বনিম্ন সীমা ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা স্থির করা হয়।
দেখা যাচ্ছে দুই ব্যবস্থাপনায়ই প্রায় ৯০ হাজার টাকা করে কমানো হয়েছে ব্যয়।
তবুও শেষ দিনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালে মোট নিবন্ধিত হজ যাত্রীর সংখ্যা ৭৮ হাজারের কাছাকাছি দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমে চার হাজার ১৬৫ জন আর বেসরকারিভাবে ৭৪ হাজার ৪৫৫ জন নিবন্ধন করেছেন।
তবে হজ অ্যাজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, হাব-এর সভাপতি শাহাদত হোসাইন তসলিম জানান, “এবারের যে লক্ষ্যমাত্রা সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। যে কোনো কারণেই হোক এ বছর হজযাত্রীদের আগ্রহ কিছুটা কম।”
এ বছর বাংলাদেশিদের জন্য কোটা রাখা হয় এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮টি। যার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার জন্য বরাদ্দ যথাক্রমে ১০ হাজার ১৯৮ এবং এক লাখ ১৭ হাজার।
হাব সভাপতি মি. তসলিম নিবন্ধন পর্যাপ্ত না হওয়ার জন্য সার্ভার জটিলতাকেও দায়ী করেন। জানান, “বুধবার সারাদিন সার্ভার ডাউন ছিল। এ কারণে অনেকেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেননি”।
এছাড়া, পাসপোর্ট পেতে বিড়ম্বনা ও দীর্ঘসূত্রতার কারণে আরো অনেক হজযাত্রী অপেক্ষমান আছে বলে দাবি এজেন্সি মালিকদের এই সংগঠনের।
এসব কারণ উল্লেখ করে ইতোমধ্যেই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে হাব।