ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

পাঠ্য বইয়ের ভুল শোধরাতে যুক্ত হচ্ছে ফিলিস্তিন অধ্যায়?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যেই বাংলাদেশের একটি পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিনের নাম না দিয়ে ইসরায়েলকে কীভাবে যুক্ত করা হল, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে। স্কুলপাঠ্য বইয়ে এ ধরনের ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদেরও।

এই পাঠ্যপুস্তক সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা দুইজন ব্যক্তিই এই ভুলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, এই ভুল সংশোধনের পাশাপাশি নতুন করে ‘ফিলিস্তিন পরিচিতি’ অধ্যায়ও যুক্ত করার সুপারিশও করবেন তারা।

সম্পাদনা পরিষদের সদস্য আবুল মোমেন বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি কীভাবে বঞ্চিত হয়েছে এটা ক্লিয়ার করে দেয়ার চেষ্টা থাকবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে।”

এত পর্যবেক্ষণের পরও পাঠ্যপুস্তকে কেন এমন ভুল হল তা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের রিপোর্টে লেখকদের গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “কমিটির রিপোর্টে ভুল প্রমাণিত হলে আমরা ওই পাতাগুলোকে কারেকশন করে সমস্ত জায়গায় পাঠিয়ে দিবো। তখন শ্রেণি শিক্ষকরা ওটা প্রতিস্থাপন করে দিবেন।”

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এনসিটিবির চরম দায়িত্বহীনতার প্রমাণ এই ভুল। শুধু এবার নয়, বার বার এমন ভুলের প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, “যে বই লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়বে, সে বই সম্পাদনার ক্ষেত্রে যে সচেতনতা থাকা উচিত তা ছিল না। ভুল থাকার পরও বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া খুবই বিপদজনক। এটা একরকম দায়িত্বহীনতা”।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পাঠ্য বইয়ের ভুল শোধরাতে যুক্ত হচ্ছে ফিলিস্তিন অধ্যায়?

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ইসরায়েল-হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যেই বাংলাদেশের একটি পাঠ্যপুস্তকে ফিলিস্তিনের নাম না দিয়ে ইসরায়েলকে কীভাবে যুক্ত করা হল, তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল সমালোচনা চলছে। স্কুলপাঠ্য বইয়ে এ ধরনের ভুল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদেরও।

এই পাঠ্যপুস্তক সম্পাদনার দায়িত্বে থাকা দুইজন ব্যক্তিই এই ভুলের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, এই ভুল সংশোধনের পাশাপাশি নতুন করে ‘ফিলিস্তিন পরিচিতি’ অধ্যায়ও যুক্ত করার সুপারিশও করবেন তারা।

সম্পাদনা পরিষদের সদস্য আবুল মোমেন বলেন, “ফিলিস্তিন রাষ্ট্রটি কীভাবে বঞ্চিত হয়েছে এটা ক্লিয়ার করে দেয়ার চেষ্টা থাকবে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে।”

এত পর্যবেক্ষণের পরও পাঠ্যপুস্তকে কেন এমন ভুল হল তা নিয়ে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাদের রিপোর্টে লেখকদের গাফিলতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, “কমিটির রিপোর্টে ভুল প্রমাণিত হলে আমরা ওই পাতাগুলোকে কারেকশন করে সমস্ত জায়গায় পাঠিয়ে দিবো। তখন শ্রেণি শিক্ষকরা ওটা প্রতিস্থাপন করে দিবেন।”

শিক্ষাবিদরা বলছেন, এনসিটিবির চরম দায়িত্বহীনতার প্রমাণ এই ভুল। শুধু এবার নয়, বার বার এমন ভুলের প্রভাব পড়ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, “যে বই লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়বে, সে বই সম্পাদনার ক্ষেত্রে যে সচেতনতা থাকা উচিত তা ছিল না। ভুল থাকার পরও বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া খুবই বিপদজনক। এটা একরকম দায়িত্বহীনতা”।