ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

জর্ডান সীমান্তে মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে

সিরিয়ায় জর্ডান সীমান্তের কাছে এক মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরান সমর্থিত কট্টর জঙ্গি গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং “এর জবাব দেয়া হবে।”

গত সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ওই অঞ্চলে এই প্রথম কোন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান এ হামলা চালিয়েছে – এমন সন্দেহকে নাকচ করে দিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেছেন, “এ অঞ্চলের বাস্তবতাকে আমলে না নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হচ্ছে।”

এদিকে, জর্ডানের দাবি হামলাটি সিরিয়ায় হয়েছে, জর্ডানের ভেতর নয়। এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাটিতে এর আগেও হামলা হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত মার্কিন সেনাদের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সর্বশেষ এই হামলার পেছনে কারা জড়িত সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে উপযুক্ত সময়ে এবং উপায়ে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে।”

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকালে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে হামলার বিষয়ে ব্রিফ করেন।

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “হামলায় যারা নিহত হয়েছেন জিল এবং আমি তাদের পরিবার ও স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাৎ করেছি। আমেরিকানরা এই ঘৃণ্য ও অন্যায় হামলায় নিহতদের জন্য শোকাহত।

কর্মকর্তারা নিহতদের পরিবারকে অবহিত করার কাজ করছেন। হামলায় নিহত ও আহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয় নি।

এই মূহুর্তে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই হামলার ঘটনায় ৩৪ জন সৈন্য মস্তিকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আহত সৈন্যদের কয়েকজনকে আরও চিকিৎসার জন্য সামরিক ঘাঁটি থেকে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তারা আরও জানান, ড্রোনটি আগে একটি বাসস্থানে পড়ার পর ঘাটিতে এসে পড়ে। সরাসরি আঘাত করলে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতো বলে জানান তারা।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ণ জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। পরবর্তীতে মার্কিন কর্মকর্তারা এর নাম দেন ‘টাওয়ার ২২’।

জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহান্নাদ মুবাইদিন একটি রাষ্ট্রীয় টিভি মাধ্যমকে বলেছেন, হামলাটি সিরিয়ার আল-তানফ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গত ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাটিতে কমপক্ষে ৯৭ বার হামলা হয়েছে।

গত মাসে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা সদস্য আহত হওয়ার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাল্টা বিমান হামলা চালায়।

জানুয়ারির শুরুর দিকে বাগদাদে এমন এক পাল্টা মার্কিন হামলায় একজন মিলিশিয়া নেতা নিহত হন।

এবিসি নিউজ পূর্বে ধারণকৃত মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল সি কিউ ব্রাউনের একটি সাক্ষাৎকার রোববার সকালে প্রচার করে। সেখানে তিনি বলেন, ইরানের আকস্মিক হামলায় বোঝা যায় যে এই অঞ্চল কতটা বিপজ্জনক হয়েছে উঠেছে।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলে আমেরিকার লক্ষ্য সংঘাত ছড়িয়ে পড়া আটকানো।

মি. ব্রাউন আরও বলেন, আমরা বড় কোন উত্তেজনার মধ্যে যেতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য হল তাদেরকে নিবৃত্ত করা। আমরা এমন কিছু করতে চাই না যা এই অঞ্চলকে আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়।

ইরান সমর্থিত হুথিরা এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার শুরুর পর মার্কিন ও জোটভুক্ত সৈন্যরা লোহিত সাগরে অবস্থান করছে।

এর আগে মার্কিন সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গাজায় সংঘাতের সাথে তাদের কোন বেআইনি সম্পর্ক নেই।

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গত সপ্তাহে নতুন সব সহিংসতা দেখা গিয়েছে, যা অস্থির এই অঞ্চলে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে ইয়েমেনে হুথিদের ওপর যৌথভাবে একটি নতুন সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ।

পেন্টাগন জানিয়েছে, সোমবারের এ হামলায় আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে আছে একটি ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ সাইট এবং হুথিদের মিসাইল এবং নজরদারি সক্ষমতা স্থানও।

ইরান সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

এটা ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম হামলা এবং গত ১১ই জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের সাথে যৌথ হামলা শুরুর পর দ্বিতীয় যৌথ অভিযান।

দশদিন আগে ইরান একেবারে আচমকা পাকিস্তানের ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়।

ইরান বলছে তারা এই হামলাটি করেছে ইরানের একটি সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল আদলের ঘাঁটি লক্ষ্য করে, যারা ইরানের ভেতরে হামলা চালিয়েছিল।

ঘটনার একদিন পর ইরানের হামলার জবাবে পাকিস্তান ইরানের সীমানার ভেতরে হামলা চালায়। ইরান জানায় যে পাকিস্তানের মিসাইল আক্রমণে তাদের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে নয় জন মারা গেছে।

দুই দেশ একে অন্যের সীমানার ভেতরে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালালে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা দেখা দেয়।

হামলার ঘটনার পর দুই দেশই তাদের নিজ নিজ রাজধানী থেকে আরেক দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে।

এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দুই দেশের রাষ্ট্রদূতই তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তারও আগে বছরের শুরুতে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন রুট লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হুথিদের হামলার পর ইয়েমেনের হুথি জাইদি শিয়া গোষ্ঠীর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বেশ কয়েকদফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জর্ডান সীমান্তে মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

সিরিয়ায় জর্ডান সীমান্তের কাছে এক মার্কিন ঘাটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইরান সমর্থিত কট্টর জঙ্গি গোষ্ঠী এ হামলা চালিয়েছে এবং “এর জবাব দেয়া হবে।”

গত সাতই অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর ওই অঞ্চলে এই প্রথম কোন মার্কিন সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান এ হামলা চালিয়েছে – এমন সন্দেহকে নাকচ করে দিয়েছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি ইরানের বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেছেন, “এ অঞ্চলের বাস্তবতাকে আমলে না নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তোলা হচ্ছে।”

এদিকে, জর্ডানের দাবি হামলাটি সিরিয়ায় হয়েছে, জর্ডানের ভেতর নয়। এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাটিতে এর আগেও হামলা হয়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত মার্কিন সেনাদের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সর্বশেষ এই হামলার পেছনে কারা জড়িত সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, “এ হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে উপযুক্ত সময়ে এবং উপায়ে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে।”

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকালে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে হামলার বিষয়ে ব্রিফ করেন।

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, “হামলায় যারা নিহত হয়েছেন জিল এবং আমি তাদের পরিবার ও স্বজনদের সাথে স্বাক্ষাৎ করেছি। আমেরিকানরা এই ঘৃণ্য ও অন্যায় হামলায় নিহতদের জন্য শোকাহত।

কর্মকর্তারা নিহতদের পরিবারকে অবহিত করার কাজ করছেন। হামলায় নিহত ও আহতদের পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয় নি।

এই মূহুর্তে দক্ষিণ ক্যারোলিনায় সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই হামলার ঘটনায় ৩৪ জন সৈন্য মস্তিকে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আহত সৈন্যদের কয়েকজনকে আরও চিকিৎসার জন্য সামরিক ঘাঁটি থেকে চিকিৎসার জন্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

তারা আরও জানান, ড্রোনটি আগে একটি বাসস্থানে পড়ার পর ঘাটিতে এসে পড়ে। সরাসরি আঘাত করলে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতো বলে জানান তারা।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড ও প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, সিরিয়া সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ণ জর্ডানের একটি ঘাঁটিতে এই হামলা চালানো হয়েছে। পরবর্তীতে মার্কিন কর্মকর্তারা এর নাম দেন ‘টাওয়ার ২২’।

জর্ডান সরকারের মুখপাত্র মুহান্নাদ মুবাইদিন একটি রাষ্ট্রীয় টিভি মাধ্যমকে বলেছেন, হামলাটি সিরিয়ার আল-তানফ ঘাঁটি লক্ষ্য করে হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গত ১৭ অক্টোবর থেকে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ঘাটিতে কমপক্ষে ৯৭ বার হামলা হয়েছে।

গত মাসে উত্তর ইরাকের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় তিনজন মার্কিন সেনা সদস্য আহত হওয়ার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও তাদের সমর্থক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পাল্টা বিমান হামলা চালায়।

জানুয়ারির শুরুর দিকে বাগদাদে এমন এক পাল্টা মার্কিন হামলায় একজন মিলিশিয়া নেতা নিহত হন।

এবিসি নিউজ পূর্বে ধারণকৃত মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল সি কিউ ব্রাউনের একটি সাক্ষাৎকার রোববার সকালে প্রচার করে। সেখানে তিনি বলেন, ইরানের আকস্মিক হামলায় বোঝা যায় যে এই অঞ্চল কতটা বিপজ্জনক হয়েছে উঠেছে।

তিনি বলেন, এই অঞ্চলে আমেরিকার লক্ষ্য সংঘাত ছড়িয়ে পড়া আটকানো।

মি. ব্রাউন আরও বলেন, আমরা বড় কোন উত্তেজনার মধ্যে যেতে চাই না। আমাদের লক্ষ্য হল তাদেরকে নিবৃত্ত করা। আমরা এমন কিছু করতে চাই না যা এই অঞ্চলকে আরও সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়।

ইরান সমর্থিত হুথিরা এই অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার শুরুর পর মার্কিন ও জোটভুক্ত সৈন্যরা লোহিত সাগরে অবস্থান করছে।

এর আগে মার্কিন সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, গাজায় সংঘাতের সাথে তাদের কোন বেআইনি সম্পর্ক নেই।

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে গত সপ্তাহে নতুন সব সহিংসতা দেখা গিয়েছে, যা অস্থির এই অঞ্চলে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে ইয়েমেনে হুথিদের ওপর যৌথভাবে একটি নতুন সিরিজ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ।

পেন্টাগন জানিয়েছে, সোমবারের এ হামলায় আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। যার মধ্যে আছে একটি ভূগর্ভস্থ স্টোরেজ সাইট এবং হুথিদের মিসাইল এবং নজরদারি সক্ষমতা স্থানও।

ইরান সমর্থিত হুথিরা লোহিত সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য রুট দিয়ে চলাচলকারী ইসরায়েল ও পশ্চিমাদের পণ্য পরিবহনকারী জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

এটা ইয়েমেনে হুথি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের অষ্টম হামলা এবং গত ১১ই জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের সাথে যৌথ হামলা শুরুর পর দ্বিতীয় যৌথ অভিযান।

দশদিন আগে ইরান একেবারে আচমকা পাকিস্তানের ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালায়।

ইরান বলছে তারা এই হামলাটি করেছে ইরানের একটি সুন্নি মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ আল আদলের ঘাঁটি লক্ষ্য করে, যারা ইরানের ভেতরে হামলা চালিয়েছিল।

ঘটনার একদিন পর ইরানের হামলার জবাবে পাকিস্তান ইরানের সীমানার ভেতরে হামলা চালায়। ইরান জানায় যে পাকিস্তানের মিসাইল আক্রমণে তাদের সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে নয় জন মারা গেছে।

দুই দেশ একে অন্যের সীমানার ভেতরে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালালে দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনের আশঙ্কা দেখা দেয়।

হামলার ঘটনার পর দুই দেশই তাদের নিজ নিজ রাজধানী থেকে আরেক দেশের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে।

এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় দুই দেশের রাষ্ট্রদূতই তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তারও আগে বছরের শুরুতে বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন রুট লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজে হুথিদের হামলার পর ইয়েমেনের হুথি জাইদি শিয়া গোষ্ঠীর উপর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বেশ কয়েকদফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।