ঢাকা ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

রাজা চার্লসের ক্যান্সার শনাক্ত, জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

রাজা চার্লসের শরীরে এক ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস ।

এটি কী ধরনের ক্যান্সার তা এখনো প্রকাশিত হয় নি। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার না কিন্তু তার সাম্প্রতিক প্রোস্টেটের চিকিৎসার সময় এটা ধরা পড়ে।

রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে রাজা চার্লসের নিয়মিত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। চিকিৎসাকালীন এই সময়ে জনসম্মুখে দায়িত্ব পালন থেকে তিনি বিরত থাকবেন।

৭৫ বছর বয়সী রাজা “ এই চিকিৎসার বিষয়ে সম্পূর্ণ ইতিবাচক এবং যত দ্রুত সম্ভব আবার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালনে ফেরার বিষয়ে আশাবাদী” এতে যোগ করা হয়েছে।

ক্যান্সার কোন পর্যায়ে বা এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আর বিস্তারিত কিছু বলা হয় নি।

রাজা চার্লস তার দুই ছেলেকে এই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে অবহিত করেছেন। প্রিন্স অব ওয়েলস তার বাবার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি তার বাবার সাথে কথা বলেছেন এবং শীঘ্রই বাবার সাথে দেখা করতে যুক্তরাজ্যে যাবেন।

রাজা সোমবার সকালে নরফোকের সান্দ্রিংহাম থেকে লন্ডন ফিরেছেন। রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, একজন বর্হিবিভাগের রোগী হিসেবে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

যদিও তিনি তার পাবলিক ইভেন্ট বন্ধ করেছেন, তবে রাজা চার্লস রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন। একইসাথে ব্যক্তিগত বৈঠক এবং অন্যান্য কাগজপত্র দেখার কাজ অব্যাহত রাখবেন।

এটা বোঝা যাচ্ছে যে, যদি চিকিৎসকরা তাকে যোগাযোগ কমিয়ে আনতে না বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে তার নিয়মিত সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রের প্রধান যখন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন, এরকম পরিস্থিতির জন্য একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজার পক্ষে কাজ করার জন্য “রাষ্ট্রের পরামর্শদাতাদের” নিয়োগ করা যেতে পারে।

বর্তমানে তাদের মধ্যে আছেন রানি ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্সেস রয়েল এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড। প্রিন্স হ্যারি এবং ডিউক অব ইয়র্ককে আর ডাকা হয় না কারণ তারা আর রাজপরিবারের সদস্য নয়।

গতমাসে প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিনের পেটের অস্ত্রোপচারের সময় তিনি সব ধরনের জনসম্মুখের ব্যস্ততা থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।

কিন্তু সোমবারে ঘোষণা করা হয় যে তিনি এই সপ্তাহের শেষের দিকে আবার প্রকাশ্য ডিউটিতে যোগ দিতে পারেন।

রোববার সান্দ্রিংহামের এক চার্চের কাজে রাজাকে দেখা গেছে। যেখানে তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন এবং দশ মিনিট হেঁটেছেন।

এক সপ্তাহ আগে লন্ডনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার প্রোস্টেট বিষয়ক চিকিৎসা শুরু হয়েছিলো।

সে সময় প্রাসাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসা এখনো ফলপ্রদ অবস্থায় আছে।

“এই চিকিৎসার সময়ই আরেকটা আলাদা বিষয় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং পরে তা ক্যান্সারের একটি ধরন হিসেবে চিহ্নিত হয়” সোমবার জানানো হয়।

প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, রাজা তার ক্যান্সার চিকিৎসার বিষয়টি জনগণকে জানাতে চেয়েছেন। তিনি যখন প্রিন্স অব ওয়েলস ছিলেন, তখন ক্যান্সার সম্পর্কিত অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।

“এই কারণে, হিজ ম্যাজেস্টি ক্যান্সার রোগী, তাদের স্বজন এবং যারা তাদের সহায়তা করে সেসব চমৎকার চিকিৎসকদের সমর্থনে প্রকাশ্যে প্রায়শই কথা বলেছেন।”

তিনি তার প্রোস্টেট চিকিৎসার সময় জনসম্মুখে গিয়েছিলেন যাতে লোকজন আরো বেশি করে প্রোস্টেট চেকআপ করায়।

প্রোস্টেট সম্পর্কিত ইস্যুতে সমস্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এনএইচএস তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলে জানানো হয়েছে।

‘কিভাবে শ্রেণি বিভেদ ছাড়াই ক্যান্সার হচ্ছে’ এই বিষয় আলোকপাত করায় রাজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিন। জনসাধারণকে ক্যান্সার আছে কিনা তা চিহ্নিত করার জন্য চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য আহ্বান করেছে।

“ দয়া করে লজ্জা করবেন না, আমরা সাহায্য করার জন্য যত তথ্য পাই ততই ভালো হয়। ক্যান্সার হোক বা না হোক এটা আপনাদের চিকিৎসার এজন্য একটি যথাযথ উপায় তৈরি করবে” বলেন রয়েল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডা. জয় ভার্মা।

যুক্তরাজ্যে প্রতি দুইজনের মধ্যে একজনের জীবনে অন্তত একবার ক্যান্সার শনাক্ত হয়ে থাকে।

এনএইচএস’র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে দুইশ ধরনের ক্যান্সার আছে। এর মধ্যে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস, প্রোস্টেট এবং অন্ত্রথলির ক্যান্সার যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি হয়।

ধরন অনুযায়ী বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর নতুন ক্যান্সার রোগীদের ৩৬ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৭৫ বছর এবং তার বেশি।

রাজা দ্রুত সম্পূর্ণ সেরে উঠবেন বলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আশাবাদ জানিয়েছেন।

লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার এবং যুক্তরাজ্যের কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হয়েলও রাজা চার্লস দ্রুত সেরে উঠবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন তিনি রাজার সাথে কথা বলবেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর রাজা চার্লস সিংহাসনের অধিকারী হন। পরের বছর মে মাসে রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে তার।

রাজা এবং রানীর এই বছরের মে মাসে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। অক্টোবরে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড এবং সামোয়াতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এই সফরগুলো হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো রাজপ্রাসাদ থেকে নিশ্চিত করা হয় নি। একই সাথে রাজা কবে থেকে জনসম্মুখে সম্পূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারবেন, সেটিও জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজা চার্লসের ক্যান্সার শনাক্ত, জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস

আপডেট সময় : ০৭:১০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজা চার্লসের শরীরে এক ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস ।

এটি কী ধরনের ক্যান্সার তা এখনো প্রকাশিত হয় নি। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার না কিন্তু তার সাম্প্রতিক প্রোস্টেটের চিকিৎসার সময় এটা ধরা পড়ে।

রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে রাজা চার্লসের নিয়মিত চিকিৎসা শুরু হয়েছে। চিকিৎসাকালীন এই সময়ে জনসম্মুখে দায়িত্ব পালন থেকে তিনি বিরত থাকবেন।

৭৫ বছর বয়সী রাজা “ এই চিকিৎসার বিষয়ে সম্পূর্ণ ইতিবাচক এবং যত দ্রুত সম্ভব আবার সম্পূর্ণ দায়িত্ব পালনে ফেরার বিষয়ে আশাবাদী” এতে যোগ করা হয়েছে।

ক্যান্সার কোন পর্যায়ে বা এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আর বিস্তারিত কিছু বলা হয় নি।

রাজা চার্লস তার দুই ছেলেকে এই বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে অবহিত করেছেন। প্রিন্স অব ওয়েলস তার বাবার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি তার বাবার সাথে কথা বলেছেন এবং শীঘ্রই বাবার সাথে দেখা করতে যুক্তরাজ্যে যাবেন।

রাজা সোমবার সকালে নরফোকের সান্দ্রিংহাম থেকে লন্ডন ফিরেছেন। রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, একজন বর্হিবিভাগের রোগী হিসেবে তার চিকিৎসা শুরু হয়েছে।

যদিও তিনি তার পাবলিক ইভেন্ট বন্ধ করেছেন, তবে রাজা চার্লস রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন। একইসাথে ব্যক্তিগত বৈঠক এবং অন্যান্য কাগজপত্র দেখার কাজ অব্যাহত রাখবেন।

এটা বোঝা যাচ্ছে যে, যদি চিকিৎসকরা তাকে যোগাযোগ কমিয়ে আনতে না বলেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে তার নিয়মিত সাপ্তাহিক সাক্ষাৎ অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রের প্রধান যখন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে অক্ষম হয়ে পড়েন, এরকম পরিস্থিতির জন্য একটি সাংবিধানিক ব্যবস্থা রয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রাজার পক্ষে কাজ করার জন্য “রাষ্ট্রের পরামর্শদাতাদের” নিয়োগ করা যেতে পারে।

বর্তমানে তাদের মধ্যে আছেন রানি ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্সেস রয়েল এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড। প্রিন্স হ্যারি এবং ডিউক অব ইয়র্ককে আর ডাকা হয় না কারণ তারা আর রাজপরিবারের সদস্য নয়।

গতমাসে প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী প্রিন্সেস অব ওয়েলস ক্যাথরিনের পেটের অস্ত্রোপচারের সময় তিনি সব ধরনের জনসম্মুখের ব্যস্ততা থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন।

কিন্তু সোমবারে ঘোষণা করা হয় যে তিনি এই সপ্তাহের শেষের দিকে আবার প্রকাশ্য ডিউটিতে যোগ দিতে পারেন।

রোববার সান্দ্রিংহামের এক চার্চের কাজে রাজাকে দেখা গেছে। যেখানে তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে হাত নেড়েছেন এবং দশ মিনিট হেঁটেছেন।

এক সপ্তাহ আগে লন্ডনের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার প্রোস্টেট বিষয়ক চিকিৎসা শুরু হয়েছিলো।

সে সময় প্রাসাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসা এখনো ফলপ্রদ অবস্থায় আছে।

“এই চিকিৎসার সময়ই আরেকটা আলাদা বিষয় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং পরে তা ক্যান্সারের একটি ধরন হিসেবে চিহ্নিত হয়” সোমবার জানানো হয়।

প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, রাজা তার ক্যান্সার চিকিৎসার বিষয়টি জনগণকে জানাতে চেয়েছেন। তিনি যখন প্রিন্স অব ওয়েলস ছিলেন, তখন ক্যান্সার সম্পর্কিত অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন।

“এই কারণে, হিজ ম্যাজেস্টি ক্যান্সার রোগী, তাদের স্বজন এবং যারা তাদের সহায়তা করে সেসব চমৎকার চিকিৎসকদের সমর্থনে প্রকাশ্যে প্রায়শই কথা বলেছেন।”

তিনি তার প্রোস্টেট চিকিৎসার সময় জনসম্মুখে গিয়েছিলেন যাতে লোকজন আরো বেশি করে প্রোস্টেট চেকআপ করায়।

প্রোস্টেট সম্পর্কিত ইস্যুতে সমস্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এনএইচএস তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পেরে তিনি আনন্দিত বলে জানানো হয়েছে।

‘কিভাবে শ্রেণি বিভেদ ছাড়াই ক্যান্সার হচ্ছে’ এই বিষয় আলোকপাত করায় রাজাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিন। জনসাধারণকে ক্যান্সার আছে কিনা তা চিহ্নিত করার জন্য চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়ার জন্য আহ্বান করেছে।

“ দয়া করে লজ্জা করবেন না, আমরা সাহায্য করার জন্য যত তথ্য পাই ততই ভালো হয়। ক্যান্সার হোক বা না হোক এটা আপনাদের চিকিৎসার এজন্য একটি যথাযথ উপায় তৈরি করবে” বলেন রয়েল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডা. জয় ভার্মা।

যুক্তরাজ্যে প্রতি দুইজনের মধ্যে একজনের জীবনে অন্তত একবার ক্যান্সার শনাক্ত হয়ে থাকে।

এনএইচএস’র ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে দুইশ ধরনের ক্যান্সার আছে। এর মধ্যে স্তন ক্যান্সার, ফুসফুস, প্রোস্টেট এবং অন্ত্রথলির ক্যান্সার যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি হয়।

ধরন অনুযায়ী বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর নতুন ক্যান্সার রোগীদের ৩৬ শতাংশের বেশি মানুষের বয়স ৭৫ বছর এবং তার বেশি।

রাজা দ্রুত সম্পূর্ণ সেরে উঠবেন বলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আশাবাদ জানিয়েছেন।

লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টার্মার এবং যুক্তরাজ্যের কমন্সের স্পিকার স্যার লিন্ডসে হয়েলও রাজা চার্লস দ্রুত সেরে উঠবেন বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন তিনি রাজার সাথে কথা বলবেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর রাজা চার্লস সিংহাসনের অধিকারী হন। পরের বছর মে মাসে রাজা হিসেবে অভিষেক ঘটে তার।

রাজা এবং রানীর এই বছরের মে মাসে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। অক্টোবরে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য নিউজিল্যান্ড এবং সামোয়াতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এই সফরগুলো হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো রাজপ্রাসাদ থেকে নিশ্চিত করা হয় নি। একই সাথে রাজা কবে থেকে জনসম্মুখে সম্পূর্ণভাবে দায়িত্ব পালন শুরু করতে পারবেন, সেটিও জানা যায়নি।