ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

যুদ্ধশিশু ও এতিম দেখিয়ে নেদারল্যান্ডসে শিশু ‘পাচারে’র বহু পুরনো ঘটনার তদন্ত বাংলাদেশে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যুদ্ধশিশু ও অনাথদের বিদেশে পুনর্বাসনের সময়ে এমন অনেক শিশুকে নেদারল্যান্ডসে নিয়ে যাওয়া হয় যারা আদতে যুদ্ধশিশু বা অনাথ ছিলই না। বাবা-মাকে না জানিয়ে কিংবা তাদের অমতে সন্তানদের দত্তক হিসেবে পাঠিয়ে দেয়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে সেই সব ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যুদ্ধশিশু ও অনাথদের বিদেশে পুনর্বাসনের সময়ে এমন অনেক শিশুকে নেদারল্যান্ডসে নিয়ে যাওয়া হয় যারা আদতে যুদ্ধশিশু বা অনাথ ছিলই না। বাবা-মাকে না জানিয়ে কিংবা তাদের অমতে সন্তানদের দত্তক হিসেবে পাঠিয়ে দেয়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে সেই সব ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
“আমার বোনদের বলেছিলেন, যদি মেয়েটা ফিরে আসে, এখানেই আসবে সে।”

“তার তিন মাস পরে মারা যান আমার মা।”

বিবিসি বাংলাকে কথাগুলো বলছিলেন কনা ভেরহেউল। ডাচ নাগরিক তিনি।

কিন্তু জীবনের দীর্ঘ সময় পার করে তিনি জেনেছেন তার আসল বাবা-মায়ের পরিচয়। জেনেছেন তার নিজের নাম ছিল নাসিমা।

তারপর, নিজের শেকড়ের কাছে পৌঁছেছেন যত দিনে, তার মা আর তখন বেঁচে নেই।

“আমি তবু ভাগ্যবান, নিজের পরিবারকে ফিরে পেয়েছি। আর কাউকে যেন এসবের মধ্য দিয়ে যেতে না হয়। তাতে জীবনটা নড়বড়ে হয়ে যায়।”

তবে বোন-ভাগ্নিদের কাছ থেকে কনা জেনেছেন, তার মা তাকে দত্তক দেননি। ত্যাগ করেননি সন্তানকে। তার সম্মতিই ছিল না দত্তকের ব্যাপারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুদ্ধশিশু ও এতিম দেখিয়ে নেদারল্যান্ডসে শিশু ‘পাচারে’র বহু পুরনো ঘটনার তদন্ত বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ০৮:২৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যুদ্ধশিশু ও অনাথদের বিদেশে পুনর্বাসনের সময়ে এমন অনেক শিশুকে নেদারল্যান্ডসে নিয়ে যাওয়া হয় যারা আদতে যুদ্ধশিশু বা অনাথ ছিলই না। বাবা-মাকে না জানিয়ে কিংবা তাদের অমতে সন্তানদের দত্তক হিসেবে পাঠিয়ে দেয়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে সেই সব ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে যুদ্ধশিশু ও অনাথদের বিদেশে পুনর্বাসনের সময়ে এমন অনেক শিশুকে নেদারল্যান্ডসে নিয়ে যাওয়া হয় যারা আদতে যুদ্ধশিশু বা অনাথ ছিলই না। বাবা-মাকে না জানিয়ে কিংবা তাদের অমতে সন্তানদের দত্তক হিসেবে পাঠিয়ে দেয়ার প্রায় পঞ্চাশ বছর পরে সেই সব ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।
“আমার বোনদের বলেছিলেন, যদি মেয়েটা ফিরে আসে, এখানেই আসবে সে।”

“তার তিন মাস পরে মারা যান আমার মা।”

বিবিসি বাংলাকে কথাগুলো বলছিলেন কনা ভেরহেউল। ডাচ নাগরিক তিনি।

কিন্তু জীবনের দীর্ঘ সময় পার করে তিনি জেনেছেন তার আসল বাবা-মায়ের পরিচয়। জেনেছেন তার নিজের নাম ছিল নাসিমা।

তারপর, নিজের শেকড়ের কাছে পৌঁছেছেন যত দিনে, তার মা আর তখন বেঁচে নেই।

“আমি তবু ভাগ্যবান, নিজের পরিবারকে ফিরে পেয়েছি। আর কাউকে যেন এসবের মধ্য দিয়ে যেতে না হয়। তাতে জীবনটা নড়বড়ে হয়ে যায়।”

তবে বোন-ভাগ্নিদের কাছ থেকে কনা জেনেছেন, তার মা তাকে দত্তক দেননি। ত্যাগ করেননি সন্তানকে। তার সম্মতিই ছিল না দত্তকের ব্যাপারে।