ঢাকা ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

পদ্মা নদীর বালু লুটপাটে আওয়ামী লীগের নেতারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। অবাধে বালু তোলায় নদীপাড়ের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা অবৈধভাবে বালু তোলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ও বয়ড়া পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ঢাকার দোহার, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও ফরিদপুরের ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীরা। দোহার থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের নেতা মোক্তার হোসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান। তিনি ইজারা নিয়ে বালু তুললেও নির্ধারিত এলাকার বাইরে থেকে বালু তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফরিদপুর থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চরভদ্রাসনের ঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বদরউদ্দিন মৃধা।

বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে গত ২৯ আগস্ট তোপের মুখে পড়েন হরিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপসী রাবেয়া ও তাঁর দলের সদস্যরা। বালু ব্যবসায়ীদের লোকজন তাঁদের স্পিডবোট একপ্রকার জিম্মি করে আজিমনগর ইউনিয়নে পদ্মা নদী থেকে মৈনট ঘাটে নিয়ে যান। পরে দোহারের সহকারী কমিশনার এস এম মোস্তাফিজুর রহমান সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন। শহিদুল ইসলামের লোকজনের বিরুদ্ধে এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দোহারের বাহ্রা ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধূলশুড়া, খাসপাড়া এলাকা তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এসব এলাকায় ভাঙনে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের কবলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। দোহারের বাহ্রাঘাট এলাকায় নদীর তীরে চারটি ড্রেজার ও পাঁচটি বালুবাহী বাল্কহেড নোঙর করে রাখা হয়েছে।

দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা বলেন, দিনের বেলা ড্রেজার যন্ত্র ও বালুবাহী বাল্কহেড নদীর তীরে ভিড়িয়ে রাখা হয়। রাতের আঁধারে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাল্কহেডে ভর্তি করে তীরে আনা হয়। এরপর সেগুলো ট্রাক ও মাহিন্দ্রায় তোলা হয়। ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারায় থাকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

পদ্মা নদীর বালু লুটপাটে আওয়ামী লীগের নেতারা

আপডেট সময় : ১২:০০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মানিকগঞ্জে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। অবাধে বালু তোলায় নদীপাড়ের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা অবৈধভাবে বালু তোলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরিরামপুর উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ও বয়ড়া পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন ঢাকার দোহার, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও ফরিদপুরের ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধি ও নেতা-কর্মীরা। দোহার থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নয়াবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের নেতা মোক্তার হোসেন।

মানিকগঞ্জ জেলা থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান। তিনি ইজারা নিয়ে বালু তুললেও নির্ধারিত এলাকার বাইরে থেকে বালু তুলছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফরিদপুর থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চরভদ্রাসনের ঝাউকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বদরউদ্দিন মৃধা।

বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে গত ২৯ আগস্ট তোপের মুখে পড়েন হরিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাপসী রাবেয়া ও তাঁর দলের সদস্যরা। বালু ব্যবসায়ীদের লোকজন তাঁদের স্পিডবোট একপ্রকার জিম্মি করে আজিমনগর ইউনিয়নে পদ্মা নদী থেকে মৈনট ঘাটে নিয়ে যান। পরে দোহারের সহকারী কমিশনার এস এম মোস্তাফিজুর রহমান সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন। শহিদুল ইসলামের লোকজনের বিরুদ্ধে এই কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

গত শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দোহারের বাহ্রা ও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধূলশুড়া, খাসপাড়া এলাকা তীব্র ভাঙনের মুখে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এসব এলাকায় ভাঙনে বেশ কিছু ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনের কবলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পক্ষ থেকে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। দোহারের বাহ্রাঘাট এলাকায় নদীর তীরে চারটি ড্রেজার ও পাঁচটি বালুবাহী বাল্কহেড নোঙর করে রাখা হয়েছে।

দোহারের নয়াবাড়ি ইউনিয়নের একাধিক বাসিন্দা বলেন, দিনের বেলা ড্রেজার যন্ত্র ও বালুবাহী বাল্কহেড নদীর তীরে ভিড়িয়ে রাখা হয়। রাতের আঁধারে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাল্কহেডে ভর্তি করে তীরে আনা হয়। এরপর সেগুলো ট্রাক ও মাহিন্দ্রায় তোলা হয়। ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারায় থাকে।