ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

নিখোঁজের তিন দিন পর উখিয়ায় অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে

নিখোঁজের তিন দিন পর কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের শফিরবিল এলাকার জঙ্গল থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরের নাম নুরুল আবছার (১৭)। সে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারবনিয়া গ্রামের ফরিদ আলমের ছেলে।

নুরুল আবছার কয়েক মাস ধরে সমুদ্রসৈকতের মেরিন ড্রাইভে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) চালিয়ে আয়রোজগার করছিল। গত শুক্রবার সে নিখোঁজ হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, মোটা রশি দিয়ে শ্বাস রোধ করে কিশোর আবছারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গলায় দাগ রয়েছে। জঙ্গল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।

নিহত আবছারের বাবা ফরিদ আলম বলেন, ছেলেকে চার মাস আগে একটি অটোরিকশা কিনে দেন তিনি। মেরিন ড্রাইভে অটোরিকশা নিয়ে পর্যটক টানত ছেলে। গত শুক্রবার রাতে তাঁর ছেলের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন জালিয়া পালং ইউনিয়নের ছেপটখালীর কয়েকজন লোক। তাঁরা ইনানী সৈকতে যাওয়ার কথা বলে রওনা দেন। এর পর থেকে ছেলে নিখোঁজ। এ ব্যাপারে গত শনিবার উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।
ফরিদ আলম বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেরিন ড্রাইভের (হোটেল রয়েল টিউলিপের কাছে) পূর্বপাশের জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর জঙ্গলের ভেতরে মুখবাঁধা অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। ফরিদ আলমের দাবি, এলাকার চিহ্নিত মানব পাচারকারী ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে অটোরিকশাটি লুট করার জন্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নিখোঁজের তিন দিন পর উখিয়ায় অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১১:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

নিখোঁজের তিন দিন পর কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের শফিরবিল এলাকার জঙ্গল থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরের নাম নুরুল আবছার (১৭)। সে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদারবনিয়া গ্রামের ফরিদ আলমের ছেলে।

নুরুল আবছার কয়েক মাস ধরে সমুদ্রসৈকতের মেরিন ড্রাইভে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (টমটম) চালিয়ে আয়রোজগার করছিল। গত শুক্রবার সে নিখোঁজ হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, মোটা রশি দিয়ে শ্বাস রোধ করে কিশোর আবছারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গলায় দাগ রয়েছে। জঙ্গল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধারসহ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে।

নিহত আবছারের বাবা ফরিদ আলম বলেন, ছেলেকে চার মাস আগে একটি অটোরিকশা কিনে দেন তিনি। মেরিন ড্রাইভে অটোরিকশা নিয়ে পর্যটক টানত ছেলে। গত শুক্রবার রাতে তাঁর ছেলের অটোরিকশাটি ভাড়া করেন জালিয়া পালং ইউনিয়নের ছেপটখালীর কয়েকজন লোক। তাঁরা ইনানী সৈকতে যাওয়ার কথা বলে রওনা দেন। এর পর থেকে ছেলে নিখোঁজ। এ ব্যাপারে গত শনিবার উখিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করা হয়।
ফরিদ আলম বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মেরিন ড্রাইভের (হোটেল রয়েল টিউলিপের কাছে) পূর্বপাশের জঙ্গল থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এরপর জঙ্গলের ভেতরে মুখবাঁধা অবস্থায় এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। ফরিদ আলমের দাবি, এলাকার চিহ্নিত মানব পাচারকারী ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে তাঁর ছেলেকে হত্যা করেছে অটোরিকশাটি লুট করার জন্য।