ঢাকা ০২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

কানাডায় বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাদের ভালো চিকিৎসার জন্য কানাডায় দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার। কানাডা হাইকমিশনার ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে। এজন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতে কানাডার হাইকমিশনার কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চতর মানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করাসহ স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ নার্স, চিকিৎসক রয়েছে বলে কানাডা হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় কানাডা হাইকমিশনারের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছে, যারা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে তাদের আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে আমাদের। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।
আলোচনায় কানাডা হাইকমিশনার বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান বেবি জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা, গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করার প্রসঙ্গেও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৪০০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদানসহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট মাত্র ১% এবং কানাডার স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ১২%। বাংলাদেশ এত কম বাজেটে এত বিরাট সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে কিনা এবং ভবিষ্যতে কানাডা সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা লাগবে কিনা, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে কানাডা হাইকমিশনার জানতে চাইলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আরও পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরেকবার বৈঠকে বসবার আমন্ত্রণ জানান। কানাডা হাইকমিশনার ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয়েই পরবর্তীতে আরেকবার সাক্ষাতের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

আলোচনাকালে, কানাডা হাইকমিশনের হেড অব কো অপারেশন অ্যান্ড কাউন্সিলর Mr. Joe Goodings এবং ভারপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাউন্সিলর Ms. Siobhan Kerr কানাডা হাইকমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নার্সিং সেক্টরকে বিশ্বমানের করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কানাডায় বেশি বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাদের ভালো চিকিৎসার জন্য কানাডায় দক্ষ নার্স, চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট দরকার। কানাডা হাইকমিশনার ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে এই নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীদের আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ হতে হবে। এজন্য কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একটি উন্নত ও বিশ্বমানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দপ্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাতে কানাডার হাইকমিশনার কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ও উচ্চতর মানের নার্স টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করাসহ স্বাস্থ্য খাত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক দক্ষ নার্স, চিকিৎসক রয়েছে বলে কানাডা হাইকমিশনারকে আশ্বস্ত করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ সময় কানাডা হাইকমিশনারের উদ্দেশে বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ৯৫ হাজার শিক্ষিত নার্স আছে, যারা বিশ্বের যেকোনো দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে তাদের আরও বেশি দক্ষ ও বিশ্বমানের করতে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে হবে। এজন্য দক্ষ প্রশিক্ষকও দরকার হবে আমাদের। এক্ষেত্রে কানাডা সরকার বাংলাদেশে যে উন্নতমানের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়।
আলোচনায় কানাডা হাইকমিশনার বাংলাদেশে চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিশেষ করে প্রাইভেট মেডিকেলে অধিক সংখ্যক সিজারিয়ান বেবি জন্ম নেয় বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা, গ্রামের মেয়েদের স্যানিটারি ন্যাপকিন সহজলভ্য করার প্রসঙ্গেও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বর্তমানে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রায় ৪০০০ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে গ্রামে থাকা মেয়েদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রদানসহ গ্রামীণ মায়েদের জন্য ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি সিস্টেম সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিসের আওতায় নিয়ে আসতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্য খাতে বাজেট মাত্র ১% এবং কানাডার স্বাস্থ্য খাতে বাজেট ১২%। বাংলাদেশ এত কম বাজেটে এত বিরাট সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে পারবে কিনা এবং ভবিষ্যতে কানাডা সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা লাগবে কিনা, সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে কানাডা হাইকমিশনার জানতে চাইলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আরও পরিকল্পনা হাতে নিয়ে আরেকবার বৈঠকে বসবার আমন্ত্রণ জানান। কানাডা হাইকমিশনার ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী উভয়েই পরবর্তীতে আরেকবার সাক্ষাতের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন।

আলোচনাকালে, কানাডা হাইকমিশনের হেড অব কো অপারেশন অ্যান্ড কাউন্সিলর Mr. Joe Goodings এবং ভারপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাউন্সিলর Ms. Siobhan Kerr কানাডা হাইকমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।