ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

চট্টগ্রামে আবার খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭০ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরে খালে পড়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার খালে নেমে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ (৫)। একদিন পর শনিবার বিকেলে আবদুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়।

শিশু আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের। তিনি বলেন, শুক্রবার খেলতে গিয়ে খালে পড়ে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। এর একদিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আবদুল্লাহর বাবা মো. কামাল দিনমজুর। তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের বাদশা মিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকায় শফিক সাহেবের কলোনিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

গত শুক্রবার বাদশা মিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকায় নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সিডিএ আবাসিক এলাকার খাল থেকে।

আবদুল্লাহর দাদা আবদুল মান্নান বলেন, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকেলে তাঁর নাতি খেলতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পরও বাসায় ফেরেনি। তখন এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। মাইকিং করেন। রাতেই খালে খোঁজ নেন। কিছু পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে আবার খোঁজ খবর নেন। বিকেলে খালে আবদুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়।

গত তিন বছরে চট্টগ্রাম নগরের নালা ও খালে পড়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৭ আগস্ট নগরের আগ্রাবাদের রঙ্গিপাড়ায় ইয়াছিন আরাফাত নামের দেড় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরদিন শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারও আগে গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ফতেহপুর ইসলামি হাটসংলগ্ন বাদামতলা এলাকার নালায় পড়ে মৃত্যু হয় কলেজছাত্রী নিপা পালিতের (২০)।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবে, নগরে উন্মুক্ত নালা-নর্দমা ও খালে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে ৫ হাজার ৫২৭টি। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৯ হাজার ২৩৪ মিটার।

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের জন্য গত তিন বছরে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট স্ল্যাব মেরামত এবং নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ খালের পাড়ে ১৫ হাজার বর্গফুট রক্ষাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে নালা-নর্দমায় কয়েক হাজার মরণফাঁদ রয়েছে।

নগরের উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে একাধিক মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)—কেউই সরাসরি এর দায় নেয়নি। এসব মৃত্যুর জন্য উল্টো সংস্থা দুটি একে অপরকে দায়ী করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রামে আবার খালে পড়ে শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৬:১৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম নগরে খালে পড়ে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার নগরের ডবলমুরিং থানার সিডিএ আবাসিক এলাকার খালে নেমে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ (৫)। একদিন পর শনিবার বিকেলে আবদুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়।

শিশু আবদুল্লাহর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের। তিনি বলেন, শুক্রবার খেলতে গিয়ে খালে পড়ে নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। এর একদিন পর শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আবদুল্লাহর বাবা মো. কামাল দিনমজুর। তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরের হালিশহরের বাদশা মিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকায় শফিক সাহেবের কলোনিতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

গত শুক্রবার বাদশা মিয়া ব্রিক ফিল্ড এলাকায় নিখোঁজ হয় আবদুল্লাহ। শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সিডিএ আবাসিক এলাকার খাল থেকে।

আবদুল্লাহর দাদা আবদুল মান্নান বলেন, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার বিকেলে তাঁর নাতি খেলতে যায়। কিন্তু সন্ধ্যার পরও বাসায় ফেরেনি। তখন এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন। মাইকিং করেন। রাতেই খালে খোঁজ নেন। কিছু পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে আবার খোঁজ খবর নেন। বিকেলে খালে আবদুল্লাহর মরদেহ পাওয়া যায়।

গত তিন বছরে চট্টগ্রাম নগরের নালা ও খালে পড়ে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৭ আগস্ট নগরের আগ্রাবাদের রঙ্গিপাড়ায় ইয়াছিন আরাফাত নামের দেড় বছর বয়সী এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরদিন শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারও আগে গত ৭ আগস্ট চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ফতেহপুর ইসলামি হাটসংলগ্ন বাদামতলা এলাকার নালায় পড়ে মৃত্যু হয় কলেজছাত্রী নিপা পালিতের (২০)।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের হিসাবে, নগরে উন্মুক্ত নালা-নর্দমা ও খালে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে ৫ হাজার ৫২৭টি। এর মোট দৈর্ঘ্য ১৯ হাজার ২৩৪ মিটার।

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, পথচারীদের নিরাপদে চলাচলের জন্য গত তিন বছরে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট স্ল্যাব মেরামত এবং নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ খালের পাড়ে ১৫ হাজার বর্গফুট রক্ষাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে নালা-নর্দমায় কয়েক হাজার মরণফাঁদ রয়েছে।

নগরের উন্মুক্ত নালা-খালে পড়ে একাধিক মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)—কেউই সরাসরি এর দায় নেয়নি। এসব মৃত্যুর জন্য উল্টো সংস্থা দুটি একে অপরকে দায়ী করে আসছে।