মিয়ানমারের যুদ্ধে যেভাবে জড়িয়ে পড়ছে ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা
- আপডেট সময় : ০৭:০৯:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২০৩ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা রোহিঙ্গারাও কিভাবে অংশ নিচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
এমন অবস্থায় সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে।
কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের গ্রামবাসীরা বলছেন, সংঘাতের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আরাকান আর্মির সাথে ‘যুদ্ধে’ অংশগ্রহণ করছে। কোন কোন সংগঠন আবার মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের(বিজিপি) ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলো নিয়ে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশে।
গত মঙ্গলবার এমন ২৩ জনকে আটকের পর বিজিবি তাদেরকে পুলিশে হস্তান্তর করে। তাদের কাছ থেকে ১২টি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘এই ২৩ জন ব্যক্তি সশস্ত্র ছিলো। যাদের অনেকের কাছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্ড ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে’। তবে তারা কেন যাচ্ছে? কিভাবে যাচ্ছে এই প্রশ্ন আমাদেরও’।
এ নিয়ে কক্সবাজারে কর্মরত সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার সাথে আলাপ হয় এই সংবাদদাতার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, ”আটককৃতদের বেশিরভাগ নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা আমি (এআরএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারিডি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য। আটক হওয়ার আগের রাতে আরাকান আর্মির সাথে তাদের যুদ্ধ হয়। এতে তাদের দশজনের মতো মারাও গেছে”।
তিনি জানান, ”তারা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকতে না পেরে কেউ কেউ পালিয়ে এসেছেন। তাদেরকেই মূলত স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে”।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মিয়ানমারের যুদ্ধেই বা কেন জড়াচ্ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো?
এর উত্তর খুঁজতে এই সংবাদদাতা কথা বলেন, ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা, উখিয়া টেকনাফের বাসিন্দা ও সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সাথে।
এ নিয়ে নানামূখী উত্তর পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে। ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মো. জুনায়েদ জানান, ”এই সংগঠনগুলো সবাই চায় শক্তি দেখাতে। তাদের দশ জনের জন্য দশলাখ মানুষ দুঃখী”।