শনিবার ২ লাখ লোকের সমাবেশ হবে, বলল আওয়ামী লীগ

- আপডেট সময় : ০৬:২৬:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৬ বার পড়া হয়েছে
বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটেই আগামী শনিবার সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। দলটি বলেছে, ওই সমাবেশে প্রায় দুই লাখ লোকের সমাগম হবে। সমাবেশের বিকল্প স্থান নির্ধারণসহ সাত বিষয়ে জানতে চেয়ে পুলিশের দেওয়া চিঠির জবাবে এসব কথা বলেছে আওয়ামী লীগ।
‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ২০ অক্টোবর পুলিশের কাছে চিঠি দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন। ওই চিঠির জবাবে গতকাল বুধবার বিকল্প দুটি স্থানের নামসহ সাত তথ্য চায় পুলিশ। সেই চিঠিতে সমাবেশে আগত লোকের সংখ্যা, সময়, বিস্তৃতি, কোন কোন স্থানে মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না–সহ সাতটি তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
পুলিশের চিঠির জবাবে আজ বৃহস্পতিবার রিয়াজ উদ্দিনের দেওয়া চিঠিতি বলা হয়, শনিবারের সমাবেশে লোকসমাগম সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৭টায় শেষ হবে। সমাবেশে প্রায় দুই লক্ষ লোকের সমাগম হবে।
সমাবেশের বিস্তৃতির বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়, সমাবেশটি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে পল্টন মোড়, জিপিও মোড়, শিক্ষা ভবন, গোলাপ শাহ মাজার, নগর ভবন, নবাবপুর সড়ক, মহানগর নাট্যমঞ্চ সড়ক, দৈনিক বাংলা মোড় এবং মতিঝিল সড়ক ও স্টেডিয়াম সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। সমাবেশে বক্তব্য প্রচারের জন্য এসব স্থানে মাইক লাগানো হবে।
চিঠিতে বলা হয়, সমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মী, সমর্থক, নারী সংগঠন, তরুণ প্রজন্ম ও সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করবেন।
সমাবেশে অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আওয়ামী লীগের দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘২৮ অক্টোবর (শনিবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি (মঞ্চনির্মাণ ও প্রচার–প্রচারণার কার্যক্রম) ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অন্য কোনো ভেন্যুতে নতুনভাবে সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করা দুরূহ ব্যাপার।’
আওয়ামী লীগের এ সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। চিঠিতে দলটির পক্ষ থেকে সমাবেশস্থল ও তার কাছাকাছি এলাকায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা দিতে পুলিশের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে পুলিশের দেওয়া চিঠির উত্তরে বিএনপিও তাদের নির্ধারিত স্থান নয়াপল্টনের বাইরে সমাবেশ করতে অপারগতার কথা জানিয়েছিল। তাদের সমাবেশে এক থেকে সোয়া লাখ লোক হবে বলে সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।