ঢাকা ০৪:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

বিচারপ্রার্থীর সাথে আ’লীগ মেয়রের পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা, অতঃপর….

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

 

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক খাঁনের নিকট ছোট বোনের উপর নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে বড় বোন ফাঁদে পড়েন পরকীয়া প্রেমের।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পৌরসভার বেতুয়া গ্রামের শুদ্র বাড়ির প্রবাসী আবু সুফিয়ানের ছোট মেয়ে পপির বিয়ে হয় সেনবাগের আবদুল কাইয়ুম নামে এক যুবকের সাথে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক ভাবে নানান সমস্যায় বিরোধ চলছিল।

পিতা প্রবাসী হওয়ার বড় বোন প্রিয়ংকা ছোট বোন পপির পারিবারিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দাগনভূঞা পৌর মেয়র ফারুকের সরানাপন্ন হয়। প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুন্দরী এ রমনীর উপর মেয়রের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এরপর শুরু হয় মেয়রের সালিশি মিমাংসার নামে নানান কলাকৌশল, চলে সময়ক্ষেপণ। প্রিয়ংকাকে সরকারী গাড়ি করে কখনো সেনবাগ কখনো ফেনী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। এক পর্যায়ে পরকীয়ার জড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারিরীক সম্পর্ক শুরু করে। শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।এরপরই বাঁধে বিপত্তি ওই গৃহবধূ মেয়রকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি তাতে মেয়র অস্বীকৃতি জানিয়ে বাচ্চা নষ্ট করার উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে ওই গৃহবধূ দাগনভূঞার গড ফাদার দিদার- মামুনকে জানিয়ে থানায় মামলা ও সাংবাদিক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে তাদের একটি মেয়ে শিশু জন্ম নেয়।বহু অপকর্মের হোতা দাগনভূঞা পৌরসভার কথিত মেয়র লম্পট ফারুকের বিরুদ্ধে এ রকম শতশত নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে।

একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, এক সময়ের ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার ছিনতাইকারী ও ডাকাত সর্দার ফারুক বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ফেনীর সিন্ডিকেট নেতা নিজাম হাজারী থেকে পৌর মেয়রের টিকেট কিনে বিনা ভোটে পৌর মেয়র হন। এরপরই দাগনভূঞা পৌর এলাকায় গড়ে তুলে অপরাধের সাম্রাজ্য, তৈরি করে নিজস্ব সন্তাসী বাহিনী কায়েম করে ত্রাসের রাজত্ব।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে টেন্ডার বাজি, অস্ত্র ব্যাবসা, পৌর এলাকায় চাঁদাবাজি সহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
ফেনীতে ছাত্র জনতার উপর সরাসরি গুলি বর্ষনকারী অস্ত্রবাজ এ ফারুকের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় বর্তমানে একাধিক হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।৫ ই আগষ্ট হাসিনার পতনের পরপরই দাগনভূঞা থেকে স্ব-পরিবারে পালিয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিচারপ্রার্থীর সাথে আ’লীগ মেয়রের পরকীয়া, অন্তঃসত্ত্বা, অতঃপর….

আপডেট সময় : ০৭:০০:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার সাবেক মেয়র পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক খাঁনের নিকট ছোট বোনের উপর নির্যাতনের বিচার চাইতে গিয়ে বড় বোন ফাঁদে পড়েন পরকীয়া প্রেমের।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পৌরসভার বেতুয়া গ্রামের শুদ্র বাড়ির প্রবাসী আবু সুফিয়ানের ছোট মেয়ে পপির বিয়ে হয় সেনবাগের আবদুল কাইয়ুম নামে এক যুবকের সাথে। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক ভাবে নানান সমস্যায় বিরোধ চলছিল।

পিতা প্রবাসী হওয়ার বড় বোন প্রিয়ংকা ছোট বোন পপির পারিবারিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দাগনভূঞা পৌর মেয়র ফারুকের সরানাপন্ন হয়। প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুন্দরী এ রমনীর উপর মেয়রের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। এরপর শুরু হয় মেয়রের সালিশি মিমাংসার নামে নানান কলাকৌশল, চলে সময়ক্ষেপণ। প্রিয়ংকাকে সরকারী গাড়ি করে কখনো সেনবাগ কখনো ফেনী বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে। এক পর্যায়ে পরকীয়ার জড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারিরীক সম্পর্ক শুরু করে। শারীরিক সম্পর্কের এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।এরপরই বাঁধে বিপত্তি ওই গৃহবধূ মেয়রকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি তাতে মেয়র অস্বীকৃতি জানিয়ে বাচ্চা নষ্ট করার উল্টো ভয়ভীতি দেখিয়ে চাপ সৃষ্টি করে।

পরবর্তীতে ওই গৃহবধূ দাগনভূঞার গড ফাদার দিদার- মামুনকে জানিয়ে থানায় মামলা ও সাংবাদিক সম্মেলনের প্রস্তুতি নিলে তাকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে তাদের একটি মেয়ে শিশু জন্ম নেয়।বহু অপকর্মের হোতা দাগনভূঞা পৌরসভার কথিত মেয়র লম্পট ফারুকের বিরুদ্ধে এ রকম শতশত নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে।

একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, এক সময়ের ঢাকার ফকিরাপুল এলাকার ছিনতাইকারী ও ডাকাত সর্দার ফারুক বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ফেনীর সিন্ডিকেট নেতা নিজাম হাজারী থেকে পৌর মেয়রের টিকেট কিনে বিনা ভোটে পৌর মেয়র হন। এরপরই দাগনভূঞা পৌর এলাকায় গড়ে তুলে অপরাধের সাম্রাজ্য, তৈরি করে নিজস্ব সন্তাসী বাহিনী কায়েম করে ত্রাসের রাজত্ব।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে টেন্ডার বাজি, অস্ত্র ব্যাবসা, পৌর এলাকায় চাঁদাবাজি সহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
ফেনীতে ছাত্র জনতার উপর সরাসরি গুলি বর্ষনকারী অস্ত্রবাজ এ ফারুকের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় বর্তমানে একাধিক হত্যা মামলা রুজু হয়েছে।৫ ই আগষ্ট হাসিনার পতনের পরপরই দাগনভূঞা থেকে স্ব-পরিবারে পালিয়ে যায়।