ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম... সারাদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে...

জগন্নাথের শিক্ষার্থী খাদিজার নিঃশর্ত মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩ ১৯ বার পড়া হয়েছে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে খাদিজার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি।
বুধবার রাতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়। খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা হয়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় খাদিজাকে।
অ্যামনেস্টির বার্তায় বলা হয়, মামলার সময় খাদিজার বয়স ১৭ বছর থাকলেও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তারপরও বারবার তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর খাদিজার জামিন আবেদনের ওপর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি আরও বলেছে, পড়াশোনার জন্য খাদিজার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা উচিত। ‘কালো আইনে’ তাঁর জেলে থাকা উচিত নয়। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

এ ছাড়া মুক্তির আগপর্যন্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদিজার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক অন্য সবার মুক্তি চেয়েছে এই সংস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জগন্নাথের শিক্ষার্থী খাদিজার নিঃশর্ত মুক্তি চায় অ্যামনেস্টি

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ নভেম্বর ২০২৩

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে খাদিজার চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংস্থাটি।
বুধবার রাতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া কার্যালয়ের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়। খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলা রাজধানীর কলাবাগান থানায়, অপরটি নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা হয়। দুটি মামলার বাদীই পুলিশ। দুই বছর পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় খাদিজাকে।
অ্যামনেস্টির বার্তায় বলা হয়, মামলার সময় খাদিজার বয়স ১৭ বছর থাকলেও প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে তাঁকে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। দিন দিন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তারপরও বারবার তাঁর জামিন আবেদন নাকচ করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর খাদিজার জামিন আবেদনের ওপর পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাটি আরও বলেছে, পড়াশোনার জন্য খাদিজার এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা উচিত। ‘কালো আইনে’ তাঁর জেলে থাকা উচিত নয়। অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

এ ছাড়া মুক্তির আগপর্যন্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী খাদিজার স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক অন্য সবার মুক্তি চেয়েছে এই সংস্থা।