খোলা হয়েছে ৪৪ টি জলকপাট আবারো বন্যা
- আপডেট সময় : ০১:১০:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৬৮ বার পড়া হয়েছে
টানা বর্ষণে বাড়ছে তিস্তার পানি, ৪৪ টি জল কপাট খুলে দেয়া হয়েছে। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির পানিতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে উত্তরের নদ-নদীগুলো। এতে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীর কূলঘেঁষা চর ও চরদ্বীপসহ লোকালয়ের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরবঙ্গের অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন, মুহাম্মদ ইউনুস লিখেছেন , ‘উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ কোন কথা নয় আমাদের পুরো বাংলাদেশকে মহান আল্লাহ তাআলা হেফাজত করুক।’ নাজিম খান লিখেছেন, ‘উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খুব খারাপ, যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী উনাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
উল্লেখ্য, তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, করতোয়া, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ অসংখ্য নদ-নদী বিধৌত রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তিস্তার পানি বিপৎসীমা উপচে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ঢুকে পড়েছে।
এসব এলাকার কৃষকরা জানান, আকস্মিক বন্যায় আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
স্বল্প মেয়াদি বন্যার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের আশঙ্কা। পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন শাক-সবজির ক্ষেতসহ ডুবেছে বিভিন্ন ফসলি জমি। প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি রেলপথেও।
রাজারহাট উপজেলার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের তিস্তার অববাহিকার আইজল নামে এক ব্যক্তি বলেন, দুইদিনের বন্যায় আমাদের ফসলে অনেক ক্ষতি হয়েছে। মরিচের আবাদ তো শেষ। এছাড়াও তিস্তা নদী ভাঙছে। আমরা খুব চিন্তায় আছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বন্যার পানিতে প্রায় সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়। এর মধ্যে রোপা আমনের ক্ষতি কম হলেও অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে কৃষি বিভাগ বলছে, চলমান বন্যায় জেলার ৪৩১ হেক্টর জমির আমন ক্ষেতসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়। পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় এসব ফসল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও দাবি করছে কৃষি বিভাগ।এদিকে পানি বাড়া-কমার সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠছে তিস্তা পাড়ের ভাঙন।স্থানীয়রা জানান, পানি কমার সঙ্গে ভাঙন শুরু হলে তা প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা নেই।